আওয়ামী লীগের সাথে কোন ছবি বা সম্পর্ক থাকলে বিএনপির কোন সংগঠনে পদ পাবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এমন নির্দেশনা থাকলেও বিএনপিপন্থী কৃষিবিদ সংগঠনে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র!
১.নূরে আলম সিদ্দিকী, উপ-পরিচালক, হর্টিকালচার উইং,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। আওয়ামী সুবিধাভোগী এই কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পূর্বে আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল। তার নিজের সোশ্যাল মাধ্যমে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব পরিতোষ হাজরার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি হলেও তদন্তের রিপোর্ট’ আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
যদিও ৫ আগস্ট পর নিজেকে বিএনপি দাবিতে করে অর্থের বিনিময়ে বিএনপিপন্থী কৃষিবিদ সংগঠনে নিজের পদ ভাগিয়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছেন এই কর্মকর্তা।
২.বনি আমিন, অতিরিক্ত উপ পরিচালক, আমদানি,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। ৫ আগস্ট পূর্বে আওয়ামী লীগের সুবিধা ভোগী এই কর্মকর্তা বর্তমানে নিজেকে বিএনপি বলে দাবি করে খামারবাড়িতে টেন্ডারবাজি, বদলি বাণিজ্য,পিপি উইং এ কমিশন বানিজ্য করছেন।
মুজিব বন্দনাকারী আওয়ামী দোসর, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নির্বাচনে রাতের ভোটের ব্যালট জালিয়াতির সাথে জড়িত ছিলেন এই কর্মকর্তা।
রায়পুরা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সকল ক্যান্ডিডেটের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন এমন অভিযোগ ছিলো এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
খামারবাড়ি থেকে শরীফ নামে এক কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে যান এই কর্মকর্তা, যা পরবর্তীতে চালানের মাধ্যমে ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কৃষি অফিসার থাকাকালীন সময়ে খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১২০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টর বরাদ্দ নিলেও, যার একটির ও বাস্তবে হদিস পায়নি দপ্তর।যা নিয়ে তাকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
আওয়ামী সুবিধাভোগী এই কর্মকর্তার এর নামে দুদকে মামলা চলমান আছে।
৫ আগস্ট পূর্বে বনি আমিন খান ফেসবুক সহ সকল মিডিয়ায় ও প্রচার প্রচারনায় নিজেকে মুজিব বন্দনাকারী পরিচয় দিতে বেশী ভালোবাসেও বর্তমানে তিনি তদবির মাধ্যমে বিএনপিপন্থী কৃষিবিদ সংগঠন এ্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ নিতে জোর তদবির চালাচ্ছেন।
৩.মুরাদুল হাসান ২০০১ সালে ফোরামের ফরম পূরণের মাধ্যমে জামাতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং অদ্যাবদি ফোরামের সক্রিয় সদস্য হিসাবে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি ২০০৯ সালে পরিষদের ফরম পূরণের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন এবং পুরস্কার স্বরুপ ডিডি বরিশালে পদায়িত হন।
মোঃ মুরাদুল হাসান, উপ পরিচালক, প্রশাসন এ যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ জন আওয়ামী দোসরকে খামারবাড়ীতে ও বিভিন্ন জেলায় ডিডি পদে পদায়ন করেছে।
তার নেতৃত্বে ঢাকাস্থ খামারবাড়ী জাতীয়তাবাদী ঘরনার ১৩ জন কর্মকর্তকে ঢাকার বাহিরে বদলী করা হয়েছে এবং ৩ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, মোঃ মুরাদুল হাসান এর সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য বনি আমিন খান (এডিডি আমদানী), কে এম বদরুল হক (প্রকল্প পরিচালক, এটিআই নির্মান), নূরে আলম সিদ্দিকী, (উপ পরিচালক, ফুল ও ফল), মোঃ হাবিব উল্লাহ (পরিচালক, প্রশাসন ও অর্থ) গং কৃষি অফিসার বদলী উপজেলা ভেদে তিন থেকে তেরো লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
আওয়ামী সুবিধাভোগী মুরাদুল হাসান পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহযোগী সাবেক ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী গাজী গোলাম দোস্তগীর কে স্বর্ণের নৌকা উপহার দিয়েছিলেন।
বর্তমানে তিনি এ্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে জোর তদবির চালাচ্ছেন।
৪.আবুল কালাম আজাদ, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, পার্টনার। বর্তমানে তিনি খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন। যিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পল্টন থানায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামী। মুজিব শতবর্ষ উৎযাপন কমিটির সদস্য কৃষি সচিব এমদাদুল উল্লাহ মিয়ানের জোর তদবিরে প্রকল্পের পিসি হলেও আওয়ালীগের সুবিধা ভোগী এই কর্মকর্তা অর্থ ও তদবিরের মাধ্যমে বিএনপি পন্থী কৃষিবিদ সংগঠন এ্যাবে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তর।
ত্যাগীদের মূল্যায়ন একই সাথে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী
শক্তির অপতৎপরতা ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
All rights reserved © 2024
Leave a Reply