সোহেল হাওলাদার বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালের বাকেরগঞ্জ কলসকাঠী অবৈধভাবে চলছে ভেকু দিয়ে সরকারি কাটের জমির মাটিও সরকারি খাস জমি ভেকু পল্টন দিয়ে মাটি কাটার ফলে কয়একটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাচ্ছে,
ঢাপরকাঠী,বাগদিয়া,নলুয়া ইউনিয়নেও অবৈধ ভাবে মাটি কাটার ফলে মানচিত্র থেকে ক্রমেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে কয়েকটি গ্রাম,কয়েকটি গ্রামে রয়েছে,ইস্কু,কলেজ,মাদ্রাসা,মসজিদ,মন্দির,এতিমখানা,মাটি কাটার ফলে সেস হয়ে যাচ্ছে গ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মাটি কাটার ফলে প্রতিবছর নদী ভাঙ্গন হয়,ফসলি জমি,ঘরবাড়ি ও সহায় সম্বল হারিয়ে ভূমিহীন হচ্ছে অনেক পরিবার।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নে অবৈধ মাটিকাটা প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্ময় হালদার অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ ভেকু মেশিন পল্টন সহ চারজনকে আটক করলেও কোন অপশক্তিতে
ভেকু দিয়ে পুনরায় মাটিকাটা শুরু করে ভূমিদস্যুরা, নভেম্বর মাসের ২ তারিখ রোজ রবিবার অভিযান শুরু করেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজার নির্দেশনায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি)তন্ময় হালদার অভিযান চালায় এ সময় বাগদিয়া ঢুবাই ব্রিকস খালের ভিতরে পল্টন পাওয়া গেলেও ইঞ্জিল চালিত মেশিন পাওয়া যায়নি,এছাড়াও পল্টনে কোন লোকজন না পাওয়ায় কারো কাছে পল্টন জিম্মি না দিতে পেরে চলে যায় তবে তিনি বলেন মাটিকাটা,বালু উত্তোলনের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
বাগদিয়া গ্রামের ঢুবাই ব্রিকসের খালের ওইপারে লক্ষীপাশা গ্রামে সরকারি কাটের জমি ও বাগদিয়া গ্রামের কাছারি বাড়ির ৩৬৫ ঘর হিন্দু সম্প্রদায়ের নদীর পাড়ের পানের বড় ও রাস্তা সহ গভীর রাতে মাটি কেটে নিয়ে যায় ভেকু পল্টন দিয়ে ভূমিদস্যুরা,
মাটিখেকোদের ভয়ে নাম প্রকাশ করেনা ভুক্তভোগীরা।বাকেরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)তন্ময় হালদার বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম নিয়ে নভেম্বর মাসের ২ তারিখ রোজ রবিবার অভিযান পরিচালনা করেন,
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজার কলসকাঠী ইউনিয়নে অবৈধ মাটিকাটা বালু উত্তোলন প্রতিরোধে জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।