1. fansporosh@gmail.com : fansporosh@gmail.com :
  2. lkjoypr@gmail.com : lkjoypr@gmail.com lkjoypr@gmail.com : lkjoypr@gmail.com lkjoypr@gmail.com
  3. shawonhossainbd101@gmail.com : shawonhossain :
  4. admin@vokta.tv : admin :
  5. Voktatv765@gmail.com : Voktatv765@gmail.com :
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদের হত্যার ঘটনায়, যা জানালেন তার ছাত্রী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬ বার পঠিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসানের খুনের ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে এসেছে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা জানিয়েছেন, বর্ষা ও তার বয়ফ্রেন্ড মাহির রহমানের প্রেমের জেরে খুন হয়েছে জোবায়েদ হোসাইন।

তবে, জোবায়েদের এই খুনের বিষয়ে তার ছাত্রী বর্ষা কিছু জানতেন না বলে জানিয়েছেন পুলিশকে।

আজ সোমবার সকালে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বর্ষাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এসব তথ্য জানান।

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষার সঙ্গে মাহির রহমানের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাহির রহমান বুরহান উদ্দীন কলেজে ফাস্ট ইয়ারে পড়ে। আর বর্ষা পড়তো ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে। পাশাপাশি বাড়িতে তাদের বেড়ে উঠা ছোট থেকে। তাদের মধ্যে ছিলো দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক।

চতুর্থ শ্রেণি থেকে একে অপরকে পছন্দ করতো। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে টানা পোড়ান ঘটে। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্কের ভাঙন হয় এবং বর্ষা তার বয়ফ্রেন্ড মাহির রহমানকে জানায় তিনি জোবায়েদকে পছন্দ করে। এটা জানার পর রাগে ক্ষোভে জোবায়েদকে মাহির রহমান তার বন্ধুকে নিয়ে হত্যা করেছে।

ওসি বলেন, সম্প্রতি বর্ষা মাহিরকে জানায় যে সে জোবায়েদকে পছন্দ করে। কিন্তু জোবায়েদকে সে তার পছন্দের কথা এখনও জানায়নি। জোবায়েদের সঙ্গে বর্ষার কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। তাদের মধ্যে এধরনের কোন মেসেজও পাওয়া যায়নি।

এ সময় জোবায়েদের বন্ধুর সঙ্গে ছাত্রী বর্ষার পরিচয় কিভাবে এটা জিজ্ঞাসা করলে ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের বন্ধু সৈকতের পরিচয় হয় ফেসবুকে।

এ ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে তাদের কথা হতো না বা অন্য কোন সম্পর্কও ছিলো না। যেহেতু সৈকত জোবায়েদের বন্ধু ছিলো, এজন্য জোবায়েদের মৃত্যুর খবর দিয়ে সৈকতকে মেসেজ করে বর্ষা।

ওসি বলেন, বর্ষার মধ্যে হতাশা বা কান্নার কোন ছাপ পাওয়া যায়নি। তার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদে কোন নার্ভাসনেসও পাওয়া যায়নি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বর্ষাকে চিন্তামুক্ত দেখা গেছে। আমরা আরও বিস্তর তদন্ত করবো। পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানানো হবে আনুষ্ঠানিকভাবে।

জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।

গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স, ক্যামেস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন।

ওই ছাত্রী বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। এদিন আনুমানিক বিকাল ৪ টার ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় তিনি খুন হন। বাসার নিচ তলার সিড়ি থেকে তিন তলা পর্যন্ত সিড়িতে রক্ত পড়েছিলো। তিন তলার সিড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে।

পরবর্তীতে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখে।

এমন পরিস্থিতিতে রাত ১১টার দিকে ওই ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয়। এ সময় আরমানিটোলার নূরবক্স রোড়ের নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ প্রটোকলে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়।

এর আগে, রাত ১০ টা ৫০ এর সময় খুনের শিকার জোবাইদ হোসাইনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয় পুলিশ।

তবে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা টিউশনিতে গিয়ে জবি ছাত্রদের নেতা জোবায়েদ হোসাইনের খুনের ১৪ঘন্টা পেরিয়ে গেছে।

রোববার রাত ১টা থেকে তার পরিবার মামলা করার চেষ্টা করলেও সকাল ৮.৩০ পর্যন্ত জোবায়েদ খুনের মামলা হয়নি। গ্রেফতার হয়নি মাহির রহমান ও তার বন্ধু। তবে পুলিশ বলছে অভিযান চলছে।

এদিকে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টা পেরোলেও বংশাল থানায় খুনের শিকার জোবায়েদের পরিবার মামলা করতে সফল হয়নি। বাদীপক্ষ জানায়, ওই ছাত্রী বর্ষা, বাবা-মা ও তার বয়ফ্রেন্ড মো. মাহির রহমান ও বয়ফ্রেন্ডের বন্ধু মো. নাফিসকে উল্লেখ করে মামলা দিতে চাইলেও বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম তা নিতে অস্বীকৃতি জানান।

মামলার বাদী ও জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, আমরা ওই ছাত্রী, তার বাবা-মাসহ ৫ জনের নামে মামলা দিতে চাইলে বংশাল থানার ওসি এত জনের নামে মামলা না দেওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি জানান, ওই মেয়ের বাবা মায়ের নামে মামলা দিলে নাকি মামলা হালকা হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা মামলায় তাদের নাম উল্লেখ করতে চাই। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।

জানা যায়, এ ঘটনায় মামলা করতে থানায় প্রায় ৭ ঘন্টা ধরে উপস্থিত রয়েছেন নিহত জোবায়েদ হোসাইনের বাবা, বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা।

তবে এদিন রাত ১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত নিহতের বাবা, বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা মামলার প্রস্তুতি নিলেও থানায় ওসি না থাকায় বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে ওসি আসলে মামলায় আসামি কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।

মামলা নিতে বিলম্বের বিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, যে কয়েকজনের নামে মামলা দিতে চায় নিব, তবে তাদের বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

All rights reserved © 2024

Designed & Developed by Raytahost