 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
মৌসুমী বায়ু দেশের ওপর কম সক্রিয় থাকলেও উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এর আগে, বুধবার সকাল ৬টার দিকে এ পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। রাতের বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ভোরের দিকে আবারও তা বেড়ে ১১ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে যায়।
তিস্তায় পানি বাড়ার কারণে কারণে লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।এর মধ্যে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারী, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, বাহাদুরপাড়া, পলাশী এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দুর্গতরা জানিয়েছেন, চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ও বসতবাড়ি ডুবে গেছে। গবাদি পশু, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
টানা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিপৎসীমার ওপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাট ও নীলফামারীর বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।
এতে অন্তত ৪৫টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ নানা ফসলের ক্ষেত। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
All rights reserved © 2024
Leave a Reply